বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

খুলনায় প্রাথমিকের উপবৃত্তি প্রকল্পের ডকুমেন্টারি উপভোগ করছে শিক্ষার্থীরা

খুলনা অফিস : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি সম্প্রচার শুরু হয়েছে। ‘চ্যানেল আই’ এ প্রতিদিন বিকেলে সম্প্রচার করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এমনকি কর্মচারীদেরও নির্দেশনা দিয়েছেন অধিদপ্তর। খুলনায় শিক্ষার্থীরাতো দূরের কথা উপজেলা শিক্ষা অফিসাররাও এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর মার্চ মাসে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভার মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির জন্য সুবিধাভোগী পরিবার নির্বাচন করা হয়। উপজেলাভিত্তিক নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী উপবৃত্তির সুবিধা পায়। বছরে চার বার উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতি ৪র্থ মাসে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি মিটিং করে নির্ধারিত শর্তানুযায়ী উপবৃত্তি প্রাপ্যদের তালিকা করে অনুমোদনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিস যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করে এবং টাকা ছাড় করার জন্য নির্ধারিত ফরমে টেবিল প্রস্তুত করে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট উপস্থাপন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সাক্ষরের পর নির্ধারিত ব্যাংকে বিল করা হয়। বিল প্রাপ্তির পর ব্যাংক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে টাকা বিতরণের সূচি প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। এরপরে নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষকরা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করেন। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প (৩য় পর্যায়) এর আওতায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মাঝে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারমূলক উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা হয়েছে। ডকুমেন্টারি মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা ৫০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ‘চ্যানেল আই’ এ সম্প্রচার করা হচ্ছে। ডকুমেন্টারিটি উপভোগ করার জন্য রোববার এক নোটিশ জারী করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

খুলনা সদর থানা শিক্ষা অফিসার শেখ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, তিনি এখনও এ ধরনের চিঠি পাননি। কোনো শিক্ষককেও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। চিঠি পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী সকল প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এই ডকুমেন্টারিটি দেখার নির্দেশনা দেওয়া হবে। যাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সকল শিশু বিদ্যালয়ে আসতে চায় না তারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহী হয়।

খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম সিরাজুদ্দোহা বলেন, তিনি এ ধরনের একটি চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু এখনও উপজেলা কর্মকর্তাদের নিকট পাঠানো হয়নি। মঙ্গলবার পাঠানো হয়েছে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মেহেরুন নেছা বলেন, ডকুমেন্টারিটি উপভোগ করার জন্য নির্দেশনা পেয়েছি। ইতোমধ্যে সকল কর্মকর্তাকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য এবং তাদের অভিভাবকরা যাতে দেখে সে জন্য শিক্ষকরা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পরের দিন বিদ্যালয়ে আসলে অনুষ্ঠানটি দেখেছে কিনা সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিবেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ